ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় চাচাকে হত্যা দায়ে ৩ ভাইয়ের মৃত্যুদন্ড

নিহত মো. নুরুল হুদা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় চাচা নুরুল হুদা (৬০)কে অপহরণের পর জবাই করেহত্যার মামলায় আদালত তিন ভাইকে মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবনের রায় দিয়েছে। একই মামলায় এক আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

আজ রবিবার (৬ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোজাম্মেল হক এ রায় দেন। নিহত চাচা নুরুল হুদা চকরিয়ার বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডিত আসামিরা হলেন, চকরিয়া থানার বদরখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মগনামাপাড়ার নুরুল আজিজের তিন ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক, ইউনুছ মানিক ও ইব্রাহিম মোস্তাফা কাইয়ুম। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হলেন একই এলাকার নুরুল আজিজের ছেলে মো. সোহায়েত। খালাস পেয়েছেন সাফায়াত নামে একজন। দণ্ডিতদের মধ্যে আসামি আবু বক্কর সিদ্দিক ছাড়া বাকিরা পলাতক।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি আইয়ুব খান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২০১৬ সালের ৩০ জুন বদরখালী বাজারের চায়ের দোকানে বসে টিভি দেখছিলেন। এসময় টিভির খবর দেখে তিনি ‌‍’একে একে সব রাজাকারকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে’ বলে মন্তব্য করেন। এমন মন্তব্য শুনে আসামি আবু বক্কর সিদ্দিক তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। পরে অন্য আসামিদের নিয়ে অটোরিকশায় করে তাকে অপহরণের পর জবাই করে হত্যা করেন।

এ ঘটনায় ২ জুলাই চকরিয়া থানায় মামলা করেন নিহতের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান।১৩ জনের সাক্ষ্য শেষে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালত আজ রায় দিলেন।

তিনি বলেন রায়ে আদালত তিন ভাইকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়নি বলে দাবি আসামি পক্ষের আইনজীবী কপিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পায়নি। উচ্চ আদালতে এ মামলায় আপিল করবো।

নিহতের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার রায়ের দিন চা দোকানে টিভিতে ফাঁসি কার্যকর হওয়ার খবর প্রচার হচ্ছিল। তা দেখে আামার পিতা বলতে থাকেন ‘শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর একে একে সব রাজাকারের ফাঁসি দিচ্ছে।’ এ সময় চা দোকানে থাকা জামায়াত সমর্থক আসামিরা আমার বাবার কথায় ক্ষিপ্ত হন। পরে চা দোকান থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।

পাঠকের মতামত: